সিলেট সিটি নির্বাচনে অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে জামায়াত

সিলেট সিটি নির্বাচনে অনেক প্রশ্নের 

উত্তর খুঁজছে জামায়াত।

--------------------------------------------------
সিসিক নির্বাচন-২০১৮ 


সিটি টিভি নিউজ""'' ২৩/০৭/২০১৮



সিলেট সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে অনেক প্রশ্নের উত্তর খোঁজছে জামায়াত। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলটি তার আগামী দিনের রাজনীতির গতিপথ ঢেলে সাজাতে সিলেট সিটি নির্বাচনে এককভাবে অংশগ্রহণ করেছে ।

নির্বাচনে ক্লিন ইমেজের অধিকারী হিসাবে পরিচিত সিলেট নগর জামায়াতের আমীর,এহসানূল মাহবূব জোবায়ের কে প্রাথী' করেছে । ইসলামী রাজনীতির এই দলটি হয়তো ভোটারদের সচেতনতা,মন মানসিকতা ও চিন্তা পরখ করতে চাচ্ছে। কেমন মেয়র চাই ? -এই প্রশ্নে সত, যোগ্য ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতির অহংকার এডভোকেট জোবায়ের কে ঘড়ি প্রতীকে জনগণ বেছে নেয় কি না ? সম্প্রতি, বিএনপি'র বদরূজ্জামান সেলিম নিবার্চন থেকে সরে পড়লে দেশব্যাপী রব উঠে যে, হয়তো জোবায়েরও বসে যাবেন।

 কিন্তু জোবায়ের আপোষ করেননি। এতে মনে হচ্ছে, জামায়াত বুঝিয়ে দিতে চাচ্ছে যে, জোট রাজনীতির স্বার্থে অতীতে এ রকম ঘটলেও দল এবং জাতীর স্বার্থে এখন আর আপোষ চলবে না। এমনটাই মনে করছেন বাংলাদেশের রাজনীতির পয'বেক্ষক মহল। তাদের মতে, সিসিক নির্বাচনে অংশগ্রহনের সিদ্ধান্তকে জামায়াতের শতভাগ নেতাকর্মী স্বাগত জানিয়েছে ।

সিলেটসহ সারাদেশের জামায়াত কর্মীরা সবাই বেশ উচ্চ্বসিত।কেউ কেউ বলছেন, জামায়াত সিসিক নির্বাচন ইস্যুতে জনসাধারণ ও দলের তৃণমূলের কর্মীদের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করতে পেরেছে । বিগত ১৮ বছরে জোট রাজনীতিতে জামায়াত অনেকটা নেগোশিয়েট করে চলছিল।

আওয়ামীলীগ সরকার দলের আমীর, সেক্রেটারি জেনারেল, এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল, নির্বাহী পরিষদ সদস্যের ৫ জনকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করার পরে বিএনপি ধরেই নিয়েছিল জামায়াত রাজনৈতিক মাঠে আর বিএনপি কে ছাড়া চলতে পারবে না ।

এক্ষেত্রে সিসিক নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীতা রাজনীতির মাঠে একটা স্পষ্ট ম্যাসেজ দিয়েছে যে, দলটি অনেককিছু হারিয়েছে, হারানোর আর কিছু নাই এবং জামায়াত নিজের স্টাইলে রাজনীতি করে, কারও অনুমতি নিয়ে নয়। এমন বাতা' পৌঁছে দিয়েছে বিএনপি কে। এছাড়া জামায়াতের নিজস্ব চেইন অব কমান্ড বহাল আছে,সিসিক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দ্বারা তা প্রমাণ করতে পারছে । অন্যদিকে,জামায়াত তার জনসমর্থনের ব্যাপারটা অনেকদিন থেকে নিশ্চিত কিছু বলতে পারছে না।এমতাবস্থায় জামায়াতের সমর্থন আসলে কতটুকু, তা বুঝার টেস্ট কেস হিসাবে হয়তো সিসিক নির্বাচন করছে ।

১৯৯৬ সালের পরে জামায়াত জোটগত নির্বাচনের কারণে জনমতের হিসাবটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে উপস্থাপন করতে পারেনি। সিসিক নির্বাচনে জামায়াতের ভোট প্রাপ্তি এই প্রশ্নের কিছুটা উত্তর এনে দিবে। বাস্তবে জামায়াতের রাজনৈতিক সমর্থন কতটুকু তা সিসিক নির্বাচন থেকে স্পষ্ট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া জোট রক্ষার একমাত্র দায়িত্ব জামায়াতের নয়- এধরণের একটা স্পষ্ট ম্যাসেজ জানিয়ে দিতে চাচ্ছে জামায়াত। আন্দোলনের বেলায় জামায়াত, আর ভোটের বেলায় বিএনপি, এটা হতে পারে না। সিসিক নির্বাচনের প্রথমেই প্রাথী' ঘোষণা দিয়ে এই ম্যাসেজ জানিয়ে দিয়েছে জামায়াত । কারো মতে, সিসিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জামায়াত রাজনৈতিকভাবে একটা বড় ঝুঁকি নিয়েছে। সিসিকে খারাপ করলে জামায়াতকে নিঃসন্দেহে অনেকবেশি জবাবদিহি করতে হবে।

অবশ্য,জামায়াত ১৫% ভোট কনফার্ম করতে পারলে, জাতীয় রাজনীতিতে একটা হিসাব এনে দেবে। সরকার জামায়াতকে অল আউট করার পরেও যদি ১৫% ভোট পায়, তাহলে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয়ে নতুন করে জামায়াতকে নিয়ে ভাবতে বাধ্য হবে। তবে, সিলেট সিটি নির্বাচনের পরে অনেককিছুর চুড়ান্ত হিসাব-নিকাশ হবে ।

সে হিসাবে ৩০ জুলাই ভোটের দিন পযন্ত আমাদের কে ফলাফলের অপেক্ষা করতে হবে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.