শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না: দ্রুত বিচার চাই – ডা. শফিকুর রহমান


ঝালকাঠি, ১৭ মার্চ: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “গড়িমসি চলবে না, জালেমদের দ্রুততম সময়ে বিচারের আওতায় আনতে হবে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতাকে হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়নকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে ঝালকাঠি পৌর মিনি স্টেডিয়ামের সামনে জেলা জামায়াত ইসলামী আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শহীদ পরিবারগুলোর পাশে থাকার অঙ্গীকার

পথসভায় জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, “শহীদরা কোনো একক পরিবারের সম্পদ নয়, তারা পুরো জাতির গর্ব। জামায়াত ইসলামী শহীদ পরিবারগুলোর প্রতি নৈতিক দায়িত্ব পালন করবে।”

এরপর তিনি শহীদ সেলিম তালুকদারের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তার নবজাতক কন্যাকে কোলে তুলে নেন। তিনি শিশুটির নাম রাখেন সাইমা সেলিম রোজা এবং ঘোষণা দেন যে, জামায়াত তার লালন-পালন, শিক্ষা ও ভবিষ্যতের দায়িত্ব গ্রহণ করবে।

নেতাদের বক্তব্য ও রাজনৈতিক সংকল্প

পথসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান। এতে আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসাইন হেলাল, ঝালকাঠি-২ আসনের জামায়াত প্রার্থী শেখ নেয়ামুল করিম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং বরিশাল জেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল জব্বার।

পরে ডা. শফিকুর রহমান হেলিকপ্টারে ঝালকাঠিতে পৌঁছে পথসভায় যোগ দেন এবং শহীদ সেলিম তালুকদারের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি স্থানীয় নেতাদের নির্দেশ দেন যেন তারা শহীদ পরিবারের নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখেন এবং তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করেন।

শাস্তির দাবিতে জনতার আওয়াজ

বক্তারা দাবি করেন, যারা ছাত্র-জনতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। শহীদদের রক্তের বিনিময়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। জনতার চাপে সরকার যদি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়, তাহলে আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণই এর বিচার করবে।

🔹 কীভাবে রাষ্ট্রীয় বিচার ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করা যায়? আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন!

নবীনতর পূর্বতন