এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি ভারসাম্যমূলক নয়

বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি ভারসাম্যমূলক নয়

  ০৪এপ্রিল ২০১৭,

প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরের সম্ভাব্য চুক্তিগুলোর সমালোচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, বাংলাদেশিরা স্বাধীনতার জন্য বারবার ভারতের(কাছে)কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। কিন্তু ভারতের উচিত বাংলাদেশের (কাছে)কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। যদি বাংলাদেশ স্বাধীন না হতো তাহলে ভারতের দুই দিকে পাকিস্তান পারমানবিক বোমা রাখত। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক’শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে অনেকেই ইমোশনাল। কেউ ধর্মের জন্য, কেউ ক্ষমতায় যাওয়া অথবা টিকে থাকার জন্য, কেউ আবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়। তবে বাস্তবতা হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি ভারসাম্যমূলক নয়।

সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যেসব চুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে এর মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি একটি। এ বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, বাংলাদেশ আর্মি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আর্মি। তাদের ভারতের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এক মমতা ব্যানার্জির অনিচ্ছায় তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না। ১৬ কোটি মানুষের দাবি তিস্তা চুক্তি না করে আমরা কেন ভারতের কাছে নিজেদের উজাড় করে দিচ্ছি।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. জাফরউল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু বলেছেন বিএনপির নির্বাচনে ‘র’ (ভারতের বৈদেশিক গোয়েন্দা) এর ভূমিকা আছে তাহলে এটা  সত্য যে বাংলাদেশে ‘র’আছে। আর তাদের কার্যক্রম সরাসরি দেখতেই ভারতের সেনাপ্রধান ঢাকায় এসেছেন।

ভারতের গাফিলতিতে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশিরা প্রাণ হারিয়েছে উল্লেখ করে জাফরউল্লাহ বলেন, ভারতের রিফিউজি ক্যাম্পে পুষ্টি ও সঠিক সেবা নিশ্চিত না করায় প্রায় ৬ লাখ বাংলাদেশি মারা গেছে। যুদ্ধের এত বছর পরেও এসব নিহত বাংলাদেশিদের তালিকা এখনও বুঝিয়ে দেয়নি ভারত।

প্রতিরক্ষা চুক্তির আগে প্রাথমিকভাবে সরকারকে ৩টি চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে জোর দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। এগুলো হচ্ছে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, তিস্তা এবং ভারতের ২০ কোটি মুসলমানকে ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার। ড. জাফরউল্লাহ বলেন, এই ৩টি চুক্তি সাক্ষরের পর দেশবাসী নির্ধারণ করবে এরপর কোন চুক্তি করা যায়।

এ সময় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা সবাই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। কিন্তু বন্ধুত্বের নামে অধীনতা চাই না, স্বার্থ বিলিয়ে দিয়ে চুক্তি চাই না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.