‘জনাব বাসার বাইরে গেলে আমাকে বাথরুমে তালা দিয়া রাখে’
‘জনাব বাসার বাইরে গেলে আমাকে বাথরুমে তালা দিয়া রাখে’
City TV News, 06/04/2017
প্রতিবেদক, তাজুল ইসলাম
প্রতিবেদক, তাজুল ইসলাম
নাম শামীম। বয়স ছয় কি সাত হবে। বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায়। বাবা নেই, মা গ্রামেই অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোন রকমে দিন পাড় করছে।
অভাবী পরিবারের এই শিশুটি প্রায় ছয়মাস আগে গ্রামের এক লোকের মাধ্যমে গুলশান একনম্বরের `সাহেব’ বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজে যোগ দেয়। এরপরই কারণে-অকারণে তার ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন।
2রোববার দুপুরে আহত অবস্থায় গুলশান লেকের পাশে শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরে নির্যাতিত শামীমকে গুলশান থানায় পৌছে দেয়।
নির্যাতিত শিশুটি ব্যাথা কাতরাতে কাতরাতে জানায়, আজ দুপুরে সাহেবের মোজা ঠিক মতো না ধোয়ার অপরাধে তার উপর শুরু হয় অকথ্য নির্যাতন। প্রথমে বাড়ির কত্রী চড়-থাপড় আর লাথি দেয়। পরে সাহেবও এগিয়ে এসে হাতের ছড়ি দিয়ে পেটাতে থাকে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সে দৌড় দিলে বাসার দারোয়ান তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। তবে কোনোরকম বাড়ির গেইট টপকে পালিয়ে আসে।
শামীম জানায়, সাহেবের নাম মোস্তাক, আন্টির নাম মিনারা। অান্টি একটা স্কুলে পড়ায়। এর বেশি কিছু বলতে পারেনি শামীম।
যে বাড়িতে কাজ করত, সেটার ঠিকানাও বলতে পারেনি শিশুটি। শুধু সাহেব আর আন্টির বর্বর নির্যাতনের ক্ষতগুলো দেখিয়ে বলে, কুনুমতে জান লই পালাই আইছি।
নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে শিশুটি আরও জানায়, সাহেব আর আন্টি নিজেরা খালি ঝগড়া করে আর আমাকে আইস্যা মারে। একটা গ্লাস ভেঙ্গে ফেলায় আমারে একদিন কোনো খাওনা দেয় নাই। বাসার বাইরে গেলে তারা আমাকে বাসার বাথরুমে তালা দিয়া রাখে।
নিজের বুকের ক্ষত দেখিয়ে শামীম বলে, কয়দিন আগে চুলায় পরোটা একটু পুড়ে যাওয়ায় আন্টি প্রথমে আমারে রুটি বানানোর বেলুন দিয়া মারছে, পরে খুনতি গরম করে বুকে ছ্যাকা দিছে।
এ বিষয়ে গুলশান থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, নির্যাতিত শিশুটি পুলিশের হেফাজতে আছে। তার কাছ থেকে নির্যাতনকারীদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হয়েছে। শিশুটির অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা নেয়া হয়।
অভাবী পরিবারের এই শিশুটি প্রায় ছয়মাস আগে গ্রামের এক লোকের মাধ্যমে গুলশান একনম্বরের `সাহেব’ বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজে যোগ দেয়। এরপরই কারণে-অকারণে তার ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন।
2রোববার দুপুরে আহত অবস্থায় গুলশান লেকের পাশে শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরে নির্যাতিত শামীমকে গুলশান থানায় পৌছে দেয়।
নির্যাতিত শিশুটি ব্যাথা কাতরাতে কাতরাতে জানায়, আজ দুপুরে সাহেবের মোজা ঠিক মতো না ধোয়ার অপরাধে তার উপর শুরু হয় অকথ্য নির্যাতন। প্রথমে বাড়ির কত্রী চড়-থাপড় আর লাথি দেয়। পরে সাহেবও এগিয়ে এসে হাতের ছড়ি দিয়ে পেটাতে থাকে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সে দৌড় দিলে বাসার দারোয়ান তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। তবে কোনোরকম বাড়ির গেইট টপকে পালিয়ে আসে।
শামীম জানায়, সাহেবের নাম মোস্তাক, আন্টির নাম মিনারা। অান্টি একটা স্কুলে পড়ায়। এর বেশি কিছু বলতে পারেনি শামীম।
যে বাড়িতে কাজ করত, সেটার ঠিকানাও বলতে পারেনি শিশুটি। শুধু সাহেব আর আন্টির বর্বর নির্যাতনের ক্ষতগুলো দেখিয়ে বলে, কুনুমতে জান লই পালাই আইছি।
নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে শিশুটি আরও জানায়, সাহেব আর আন্টি নিজেরা খালি ঝগড়া করে আর আমাকে আইস্যা মারে। একটা গ্লাস ভেঙ্গে ফেলায় আমারে একদিন কোনো খাওনা দেয় নাই। বাসার বাইরে গেলে তারা আমাকে বাসার বাথরুমে তালা দিয়া রাখে।
নিজের বুকের ক্ষত দেখিয়ে শামীম বলে, কয়দিন আগে চুলায় পরোটা একটু পুড়ে যাওয়ায় আন্টি প্রথমে আমারে রুটি বানানোর বেলুন দিয়া মারছে, পরে খুনতি গরম করে বুকে ছ্যাকা দিছে।
এ বিষয়ে গুলশান থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, নির্যাতিত শিশুটি পুলিশের হেফাজতে আছে। তার কাছ থেকে নির্যাতনকারীদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হয়েছে। শিশুটির অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা নেয়া হয়।
কোন মন্তব্য নেই