এই ব্লগটি সন্ধান করুন

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আর নির্বাচন করবো না-হিরো আলম

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আর নির্বাচন করবো না-হিরো আলম

সি-টি-নি-বি ডেস্ক
প্রকাশিত: সন্ধ্যা ০৭:২০ জুলাই ২০, ২০২৩।

হিরো আলম বলেন নির্বাচনের মাঠে একদিকে মার খেতে হচ্ছে, টাকা পয়সা যাচ্ছে। আবার মামলারও শিকার হতে হচ্ছে। মানুষ যদি এতো কিছুর শিকার হয় তারা তো নির্বাচনে যাবে না.

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আর নির্বাচন করবেন না বলে মন্তব্য করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত মুখ আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে হামলার শিকার এই স্বতন্ত্র বলেন, “এই সরকারের আমলে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনবার নির্বাচন করে মার খেয়েছি। প্রথমে ২০১৮ সালে, এরপর বগুড়ায় উপনির্বাচনে জিতেও ফল পাইনি। আবার ঢাকায় উপনির্বাচন করতে এসে মার খেলাম। আমি চেষ্টা করেছি, সুষ্ঠু ভোট হোক, ভোটাররা ভোট দিতে আসুক। কিন্তু মার খেলাম। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আর নির্বাচনে যাবো না।”

হিরো আলম বলেন, “নির্বাচনের মাঠে একদিকে মার খেতে হচ্ছে, টাকা পয়সা যাচ্ছে। আবার মামলারও শিকার হতে হচ্ছে। মানুষ যদি এতো কিছুর শিকার হয় তারা তো নির্বাচনে যাবে না। আমার মনে হয় না, আর কখনও কেউ নির্বাচনে আসতে পারে।”

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন হিরো আলম।


এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।

হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, “ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলাম। সেখানে ভোটের শেষ মুহূর্তে আমার ওপর হামলা হয়। হামলায় কারা কারা ছিল তাদের শনাক্তের জন্য আমাকে ডাকা হয়েছিল। আমি ডিবির প্রতি কৃতজ্ঞ, তারা দ্রুত হামলাকারীদের ধরেছে, যা ভাবতেও পারিনি। আমি ভেবেছিলাম হামলাকারীরা ক্ষমতাশালী দলের লোক। তাদের হয়তো ধরবে না।”

হিরো আলম বলেন, “এই নির্বাচনে হামলায় আমি মারাও যেতে পারতাম। নির্বাচন করে অনেক মায়ের কোল খালি হয়েছে, বউ স্বামী হারিয়েছে। যারা ক্ষমতাশালী দলের লোক তারা ঠিকই ক্ষমতা দেখায়, ক্ষমতা আদায় করে। নির্বাচন করতে এসে কোনো মায়ের যেন বুক খালি না হয়। যারা হামলা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমাকে পছন্দ না হলে আমাকে ভোট দেবেন না, এড়িয়ে যান। কিন্তু আমাকে মারার অধিকার দেওয়া হয় নাই। সে দিন যেভাবে আমাকে মারা হয়েছে, একমাত্র ওপরওয়ালার জন্য বেঁচে আছি। হামলাকারীরা আমাকে পাষণ্ডের মতো মেরেছে, তাদের বিবেকে বাঁধেনি। মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরও মেরেছে।”

হামলার ঘটনা সাজানো এমনও শোনা গেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, “হামলায় যদি আমার লোকই থাকে তবে তো আমার লোকই ধরতো। যাদের ধরে আনা হয়েছে তাদেরকে তো রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ডে তারা যদি বলে ওরা আমার লোক, তাহলে আমি দায় মাথা পেতে নেবো।”

উল্লেখ্য, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের দিন ১৭ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের বাইরে একদল লোক হিরো আলমকে মারধর করে। 

এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৫/২০ জনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান শুভ।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সবশেষ বুধবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে মানিক গাজী ও আল আমিন নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া সাতজন হলেন- ছানোয়ার কাজী (২৮), বিপ্লব হোসেন (৩১), মাহমুদুল হাসান (২৭), মোজাহিদ খান (২৭), আশিক সরকার (২৪), হৃদয় শেখ (২৪) ও সোহেল মোল্লা (২৫)। তাদের মধ্যে দুজনকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। বাকিরা কারাগারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.