সন্তান কেন হিজড়া হয়
সন্তান কেন হিজড়া হয়
সিটি টিভি নিউজ
10/জুন/2017,
নারীও নয় আবার পুরুষও নয়, এই অবহেলিত শ্রেণীটিকে আমরা ‘হিজড়া’ বলে ডাকি। অথচ হিজড়া শব্দকে অভিশাপ বা গালি হিসেবেই মনে করে তারা। আসলে তারা হচ্ছে ট্রানজেন্ডার।
প্রকৃতির নিয়তিতেই এরা স্বাভাবিক মানুষের পরিবর্তে হিজড়ায় রূপান্তরিত হয়। ঠিক যেমনটি ঘটে থাকে একজন প্রতিবন্ধীর ক্ষেত্রে।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
হিজড়া শব্দটি এসেছে আরবী হিজরত বা হিজরী শব্দ থেকে, যার আভিধানিক অর্থ পরিবর্তন বা Migrate বা Transfer।
এর ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশে বিশেষ এক ধরনের শারীরিক প্রতিবন্ধীদের হিজড়া বলে মূলত শারীরিক লিঙ্গের ত্রুটির কারণে এদের সৃষ্টি।
এদের প্রধান সমস্যা গুলো হলো- এদের লিঙ্গে নারী বা পুরুষের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য থাকে না। কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় লিঙ্গ নির্ধারক অঙ্গ থাকে না। এসবের উপর নির্ভর করে তাদেরকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়।
শারীরিক ভাবে পুরুষ কিন্তু মানসিক ভাবে নারী বৈশিষ্ট্যের অধীকারী হিজড়াদের বলা হয় অকুয়া, অন্য হিজড়াদের বলা হয় জেনানা, আর মানুষের হাতে সৃষ্ট বা ক্যাসট্রেড পুরুষদের বলা হয় চিন্নি।
কেন হিজড়া হয় এর বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা হচ্ছে, দেখা যায় XX প্যাটার্ন ডিম্বানুর সমন্বয়ে কন্যা আর XY প্যাটার্ন থেকে জন্ম নেয় ছেলে শিশু।
ভ্রুণের পূর্ণতার স্তরগুলোতে ক্রোমোজোম প্যাটার্নের প্রভাবে ছেলে শিশুর মধ্যে অণ্ডকোষ আর কন্যা শিশুর মধ্য ডিম্বকোষ জন্ম নেয়। অণ্ডকোষ থেকে নিসৃত হয় পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেন এবং ডিম্বকোষ থেকে এস্ট্রোজেন। এক্ষেত্রে ভ্রুণের বিকাশকালে নিষিক্তকরণ ও বিভাজনের ফলে বেশকিছু অস্বাভাবিক প্যাটার্নের সৃষ্টি হয়। যেমন- XXY অথবা XYY। এর ফলে বিভিন্ন গঠনের হিজড়া শিশুর জন্ম হয়।
হিজড়া জন্ম হওয়ার বিষয়ে ইসলাম ধর্মেও ব্যাখ্যা রয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, হিজড়ারা জ্বীনদের সন্তান। কোনো এক ব্যক্তি আব্বাস (রা.) কে প্রশ্ন করেছিলেন, এটা কেমন করে হতে পারে। জবাবে তিনি বলেছিলেন- ‘আল্লাহ্ ও রাসুল (সা.) নিষেধ করেছেন যে, মানুষ যেন তার স্ত্রীর মাসিক স্রাব চলাকালে যৌন সংগম না করে’। সুতরাং কোনো নারীর সঙ্গে তার ঋতুস্রাব হলে শয়তান তার আগে থাকে এবং সেই শয়তান দ্বারা ওই নারী গর্ভবতী হয় ও হিজড়া সন্তান প্রসব করে।
মানুষ ও জ্বীনের যৌথ মিলনজাত সন্তানকে ইসলামে বলা হয় ‘খুন্নাস’। সুত্র : সূরা বানী ইস্রাইল- আর রাহমান -৫৪, ইবনে আবি হাতিম, হাকিম তিরমিজি।
কোন মন্তব্য নেই