কোটা সংস্কারের দাবীতে পুলিশের গুলিতে নিহত ১, আহত শতাধিক

ডেস্ক রিপোর্ট
০৯/০৪/২০১৮
লেখক: তাজুল ইসলাম

বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে, কিন্তু আজকের এই স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে কথা বলা, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যেন দুষ্কর হয়ে উঠেছে। রাজপথে ছাত্ররা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করলেই পুলিশি হামলার শিকার হতে হয়। কোটা সংস্কারের দাবীতে আজকের আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে এক ছাত্র নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। এই পরিস্থিতি আমাদের সবাইকে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন করছে।

কোটা সংস্কারের দাবী উঠেছে দীর্ঘদিন ধরে, কিন্তু আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদও যেন ক্ষমতাসীনদের কাছে এক ধরনের অগ্রহণযোগ্য অবস্থা হয়ে উঠেছে। দেশের পুলিশ, যারা সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, তারা কি তাদের নিজের জনগণের ওপর গুলি চালানোর অধিকার পেয়েছে? পুলিশও আদতে কোনো অপরাধী নয়, বরং তারা সরকারের নির্দেশনা অনুসারে কাজ করছে, কিন্তু যখন তারা সাধারণ জনগণের ওপর গুলি চালায়, তখন সেটা কতটা ন্যায়সংগত হতে পারে?

এটি আমাদের জাতীয় বিবেককে প্রশ্নের সম্মুখীন করে। আমরা কি সত্যিই স্বাধীন দেশের নাগরিক? আমরা কি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, নাকি রাজতন্ত্র কায়েম করার একটি ষড়যন্ত্র চলছে? আজ যখন পুলিশের গুলিতে এক ছাত্র নিহত হয়েছেন, তখন আমাদের বিবেক বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ে।

এই ঘটনার পর আমরা চাই, আন্দোলনরত ছাত্রদের প্রতি সহানুভূতি দেখানো হোক। এরা দেশের ভবিষ্যৎ, এদের ওপর গুলি চালানোর কোনো কারণ নেই। আপনাদের যদি কখনো পিতা-মাতা হন, তাহলে আপনাদের কোল খালি হওয়ার যন্ত্রণা বুঝতে পারবেন, যখন কেউ আপনাদের সন্তানের ওপর গুলি করবে। এক মাঘে শীত যায় না, এবং প্রতিবছর শীত আসবে – এই কথা মনে রেখে একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও সমবেদনা রাখা জরুরি।

আমরা নিহত ছাত্রদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। আল্লাহ তাদের জান্নাতের মেহমান হিসেবে মর্যাদা দান করুন এবং আহতদের শীঘ্রই সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরে আসার তৌফিক দিন।

নবীনতর পূর্বতন