এই ব্লগটি সন্ধান করুন

কোরআনের মাহফিল ফুলতলীদের কবলে।

কোরআনের মাহফিল ফুলতলীদের  কবলে।


সিটি টিভি নিউজ ২৫/১২/২০১৭ ইংরেজী



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সিলেটের বেদাতী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী ফুলতলী পন্হী সংগঠন আল-ইসলাহ ও তালামীযে ইসলাম এর চেলা পেলারা আওয়ামীলীগের প্রকাশ্য মদদে পুলিশের সহযোগীতায় তাফসিরুল কোরআন মাহফিল বন্ধ করে দিয়েছে।

গতকাল ২৪/১২/২০১৭ ইং সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোরআনের বাণী শুনার জন্য সিলেটের তেমুখিস্হ সোনাতলা বাজারে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে।


জাগরন ইসলামী সোসাইটি (জাইস) কর্তৃক আয়োজিত ৬ষ্ঠ তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের প্রথম দিনের প্রধান আকর্ষন বাংলার ৬৪ জেলার বীরপুরুষ বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন হাফিজ মনোয়ার হোসেন মুমিন এবং দ্বিতীয় দিনের প্রধান আকর্ষন প্রখ্যাত ক্বারী আব্দুল্লাহ আল আমিন ছিলেন।


 হাফিজ মনোয়ার হোসেন মুমিনের মধুর কন্ঠে ওয়াজ শুনার জন্যে ঐতিহ্যবাহি সোনাতলা বাজারে তৌহিদি জনতার জোয়ার নামে।


উক্ত মাহফিলকে বন্ধ করার জন্যে বেদাতী ও মাজারপুজারি তালামিযপন্হীরা যারপড়নাই অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। 


তারা উক্ত মাহফিলের সোজা উত্তর দিকে একই রাত্রিতে তথাকথিত গজল সন্ধার আয়োজন করে অটোমেটিক প্যান্ডেল তৈরী করে ফলে এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করে।

এদিকে খবর পেয়ে জালালাবাদ থানার ওসি  পুলিশের ফোর্স নিয়ে এসে তাৎক্ষনিকভাবে মাহফিলগুলো বন্ধ করে দেন।


এলাকার লোকের দাবী উক্ত মাহফিলটি বন্ধ করার জন্য বেদাতিরা পরিকল্পিতভাবে কাজটি করেছে।

জাগরন ইসলামী সোসাইটি (জাইস) এর সভাপতি জানান, দীর্ঘ একটা বছর ধরে আমরা এই মাহফিলের আয়োজন করে আসছি অনেক শ্রম ও ত্যাগ-তীতীক্ষার বিনিময়ে, যেখানে ওদের প্রোগ্রামের কোন পোষ্টারিং, মাইকিং, প্রচার-প্রচারনার খবরই পাওয়া যায়নি। 

আকষ্মিকভাবে তারা উক্ত প্রোগ্রামটিকে রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিতভাবে আওয়ামীলীগের প্রকাশ্য মদদে আমাদের মাহফিল বন্ধ করে দেয়ার প্রচেষ্টা চালাতে তারা এ জগন্য, কদর্য কাজটি করেছে।

এদিকে বিষয়টি সদর উপজেলার আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতা অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক সাহেবের কাছে পৌছলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আদেশ দেন এবং অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্তা প্রয়োগের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


 তারই পাশাপাশি তিনি বলেন আজ ২৫/১২/২০১৭ ইং সকাল দদশটায় বিষয়টি নিয়ে মুরুব্বিদের মাঝে বসার জন্য।

 অতঃপড় দ্বিতীয় দিনের তাফসির শুরু করার জন্য।

জনসাধারনের দাবী দিন দিন বেদাতী এ সংগঠনটি মাথাছাড়া দিয়ে সকল শৃঙ্খলা ভেঙ্গে আত্মপ্রকাশ করতেছে। 

তারা কোরআনের মাহফিলে বাধা দিয়ে হীন মনোমালিন্যের পরিচয় দিয়েছে। 

এদের সর্বাত্মক শাস্হি কামনা করি।

উল্লেখ্য এর আগে বিয়ানীবাজারে সাংগঠনিক কারনে নিজেরা মারামারি করে পাঁচজন আহত হয়েছে, জাউয়া বাজারে ক্বওমী পন্হীদেরর পোষ্টার, ব্যানার চিড়ে ফেলেছে, ছাতকে ক্বওমীপন্হী সংগঠনের শান্হিপ্রিয় মাহফিলে আক্রমন করে একজনকে নিহত করেছে আহত আরো দে শতাধিক করেছে, এর আগে মৌলভীবাজারে (বড়লেখা) নিজেরা মারামারি করে অনেকে আহত হয়েছে।


দিনের পর দিন ওরা এমন জগন্য কাজ করে রাষ্ট্রিয় ডাকাতে পরিনত হচ্ছে। ওদেরকে এখনই রুখে দেওয়ার উপযুক্ত সময় না হয় দেশ ও জাতীর জন্যে ওরা বিরাট হুমকি হয়ে দাড়াবে।


জনসাধারনের প্রতি আকুল আবেদন বেদাতী ও সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশ আন্জুমানে আল-ইসলাহ ও তালামিযে ইসলাম থেকে বেচে থেকে নিজিদের ঈমানকে বাচিয়ে রাখুন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.